মির্জা তারেকুল কাদের-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (বিজেম) এর নির্বাহী পরিচালক মির্জা তারেকুল কাদের (মির্জা তারেক) দীর্ঘ দু’দশক যাবৎ সাংবাদিকতা, জনসংযোগ, গবেষণা ও প্রকাশনার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি একজন কৃতি লেখক ও সংগঠক হিসেবেও মির্জা তারেক ইতোমধ্যে নিজেকে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত । এইচ এস সি পরীক্ষায় তিনি কুমিল্লা বোর্ডের মেধা তালিকায় (মানবিক বিভাগ) চতুর্থ স্থান অধিকার করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে অর্নাসসহ (প্রথম অর্নাস ব্যাচ) এম এ পাশ করেন। অধুনাবিলুপ্ত দৈনিক দেশ-এ কয়েক বৎসর সাংবাদিকতা করার পর তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রকাশনা অফিসের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন । পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী হতে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এবং ২০০২ সালে গড়ে তোলেন দেশের একমাত্র বেসরকারী গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)।

১৯৯৩ সালে বাংলা একাডেমীর গবেষণা বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয় মির্জা তারেক-এর সাড়া জাগানো গবেষণা গ্রন্থ ‘‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প’’ (৭৩৭ পৃষ্ঠা)। দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে সমাদৃত এবং সুধীজন কর্তৃক উচ্চ প্রশংসিত এই গ্রন্থটি তাঁকে একজন লেখক ও গবেষক হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তোলে। ১৯৯৭ সালে ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ কর্তৃক প্রকাশিত চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি বৃহদাকার সংকলন গ্রন্থে বাংলাদেশ হতে একমাত্র তাঁর গবেষণামূলক নিবন্ধ স্থান পায়। এছাড়া ২০০২ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় বৃহদাকার গ্রন্থ ‘‘জনসংযোগ ও প্রকাশনা’’ (৫২০ পৃষ্ঠা)। দৈনিক ইত্তেফাক, জনকন্ঠ, সংবাদ, ইনকিলাব, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, রোববার, পূর্ণিমাসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল পত্র-পত্রিকায় এবং বিদেশে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকেও তাঁর অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কয়েকটি সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার অতিরিক্ত সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, কনট্রিবিউটর এবং উপদেষ্টা ছিলেন। বর্তমানে তিনি মাসিক অগ্রজ-এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি। জনসংযোগ, গণমাধ্যম এবং জনপ্রিয় বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও গবেষণা সংস্থার সঙ্গেও মির্জা তারেক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে রিসোর্স পারসন এবং এশিয়াটিক সোসাইটির একজন গবেষক। কৃতি ও দক্ষ সংগঠক মির্জা তারেক বর্তমানে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ সম্পাদনা ও প্রকাশনা সমিতির সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অসামান্য যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এগুলোর পাশাপাশি আরো কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংগঠনের উপদেষ্টা পদে এবং কার্যকরী পরিষদেও তিনি অধিষ্ঠিত রয়েছেন। সাংবাদিকতা, জনসংযোগ, শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য মির্জা তারেক দেশ-বিদেশের একাধিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদাপূর্ণ ‘তিস্তা-তোরষা’ সম্মাননা, জাতীয় প্রেস ক্লাব লেখক পদক, স্বাধীনতা সংসদ এডুকেশন এ্যাওয়ার্ড পুরস্কার। লেখালেখির ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাদানকারী তাঁর পিতা মরহুম ড. এম আবদুল কাদের ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও গবেষক। মা মরহুমা জয়নাব কাদের ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং একজন বিদূষী মহিলা।

Scroll Up